ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, কোন ধরনের টালবাহানা না করে অযোগ্য অসভ্য সিইসিকে দ্রুত পদত্যাগ করতে হবে। তা না হলে কিভাবে তাকে পদচ্যুত করাতে হয় তা বাংলার মানুষ ভালোভাবে জানে। সাংবিধানিক পদে বসে তিনি নিজেকে পরীক্ষার কথা বলেছিলেন। আমরা তার কথা অনুযায়ী তার প্রাথমিক পরীক্ষা নিয়েছি। সেই পরীক্ষা দিতে গিয়ে অথর্ব সিইসি বরিশালে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেছে। অযোগ্য সিইিস’র পদত্যাগ ও জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া নিরপেক্ষ নির্বাচন অসম্ভব।
শনিবার (১৭ জুন) বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথাগুলো বলেন।
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম (শায়খে চরমোনাই)-এর উপর বর্বর হামলার প্রতিবাদে এবং অথর্ব সিইসি’র পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ, সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মনসুর আহমদ সাকী, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুহাম্মদ মারুফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ ইলিয়াস হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) মাওলানা আরিফ বিন মেহের উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) মুফতী আব্দুল্লাহের আরেফী, দফতর সম্পাদক এম এ হাসিব গোলদার, অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মুফতী আবু বকর সিদ্দীক, প্রকাশনা সম্পাদক মাস্টার মাহবুবুর রহমান, শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক প্রকৌশলী এহতেশামুল হক পাঠান, নৃগোষ্ঠী ও সংখ্যালঘু সম্পাদক মুফতী মোস্তাফিজুর রহমান, উপসম্পাদক আবুল হাসান রায়হান ও নগর নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, যারা মুফতি ফয়জুল করিমের উপরে বর্বরোচিত হামলা করেছে তারা ফিরাউন ও নমরুদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা মনে করি এই হামলা বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয়; তারা সুপরিকল্পিতভাবে মুফতি ফয়জুল করিমকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আর সিইসির কথা “তিনি কি ইন্তেকাল করেছেন” এর মাধ্যমে আমরা বুঝতে পেরেছি নির্বাচন কমিশনও এই হত্যা পরিকল্পনার সাথে জড়িত।
কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিন বলেন, বরিশালে শায়খে চরমোনাই মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীমের ওপর হামলার ঘটনা প্রমাণ করে দেশটা এখন সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। সুস্থ ধারার রাজনীতির একজন ক্যারিশমাটিক নেতার উপর এই আক্রমণ এটাও প্রমাণ করে, নির্বাচন ব্যবস্থার মতো দেশের রাজনৈতিক ধারারও বিলুপ্তি ঘটিয়ে আওয়ামীলীগ এখন একদলীয় শাসনের পথে হাঁটছে। সরকার, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন সবাই যেন জালেমের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। আওয়ামী সরকার এদেশে যে পরিমাণ সন্ত্রাস করেছে, তা আর কেউ করেনি।
কেন্দ্রীয় সভাপতি সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বে সিইসি’র পদত্যাগ ও জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।