ইসলামী যুব আন্দোলনের সদস্য শহীদ কারীমুল ইসলামের জানাযা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্পন্ন
৫ই আগষ্ট স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে
শহীদ মুহাম্মাদ কারীমুল ইসলামের জানাজা আজ সোমবার ৩০শে সেপ্টেম্বর বাদ মাগরিব কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি ইসলামী ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার লাখাই ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন।
স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ৫ই আগষ্ট পুলিশ বাহিনীর পৈশাচিক হামলায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন বুলেটের যন্ত্রনা ভোগ করে তিনি আজ সকালে মৃত্যূ বরণ করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া-ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আজ বাদ মাগরিব ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদের ইমামতিতে তার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। জানাযায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ, সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী, অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ইউসুফ মালিক, কেন্দ্রীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক খায়রুল আহসান মারজান, ঢাবি সভাপতি ইয়াসিন আরাফাতসহ বিভিন্ন প্রর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
জানাযা পূর্ববর্তী আলোচনায় কারীমুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে তার খালু বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, কারীমুলের পরিবারে সেই ছিল কর্মক্ষম ব্যক্তি। তার বাবাও বেঁচে নেই। কিন্তু স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সে জীবনের মায়া ভুলে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, আজ পরিবারে তার মা, ভাই-বোনেরা তাকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। তাকে হত্যার দায়ে হাসিনা ও তার পেটুয়া বাহিনীর সঠিক বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এসময় তিনি কারীমুলের পরিবারের উপযুক্ত কাউকে সরকারী চাকুরি ও সহযোগিতার আবেদন জানান।
বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ খুনি হাসিনা ও তার পলাতক দোসরদেরকে অবিলম্বে দেশে এনে শাস্তি কার্যকর করার আহ্বান জানান। দেশের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ও তাদের পরিবারকে বিশেষ প্রণোদনা দেয়ার দাবি জানান।