ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে দেশের মানুষের কণ্ঠরোধের অপচেষ্টা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না, স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসেও জনগণের কণ্ঠরোধ করার মত আইন যেই সরকার করে তারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না, তারা রাতের ভোটে ক্ষমতায় এসে জনগণের সাথে তামাশা করছে।
আজ ৪ মার্চ ২০২১ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে ইসলামী যুব আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক আয়োজিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন ও অপব্যবহার বন্ধের দাবিতে মানববন্ধনের সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন উপর্যুক্ত কথাগুলো বলেন।
কেন্দ্রীয় সভাপতি আরো বলেন, এই সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা রকম আইন করে বাংলাদেশকে কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের পরিবর্তে কর্তৃত্বমূলক রাষ্ট্রে পরিণত করেছে ।
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় করা এসব আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করা থেকে বিরত থাকুন, তা না হলে এর পরিণতি অত্যান্ত ভয়াবহ হবে। এদেশের মানুষ তাদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে, প্রয়োাজনে নিজেদের কথা বলার স্বাধীনতার ও জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য যা যা করা দরকার তাই করবো ইনশাআল্লাহ।
সেক্রেটারি জেনারেল প্রকৌশলী আতিকু রহমান মুজাহিদ বলেন, যে কোন দেশে আইন তৈরি করা হয় জনগনের সুবিধার কথা বিবেচনা করে, কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামে থাকা আইনটি যেন মানুষের বাক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে আতংকে পরিনত হয়েছে। গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যারা নিজেদের সুচিন্তিত মতামত লিখতে চায় এর মাধ্যমে তাদের কণ্ঠরোধ করার অপচেষ্টা চলছে।
অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, ইসলামী যুব আন্দোলন এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মানসুর আহমদ সাকী, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ নুর- উন-নাবী,
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন, ইসলামী যুব আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক মুহাম্মাদ ইলিয়াস হাসান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল জলিল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি শফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।