একটি আদর্শ রাষ্ট্র কায়েমের জন্য আদর্শ শাসক প্রয়োজন। আর আদর্শ শাসক হতে হলে পরকালের জবাবদিহীতা দরকার। শিক্ষার সাথে ধর্মীয় দিক্ষা না থাকলে মানুষ দূর্নীতি মুক্ত হতে পারে না। সরকারে শিক্ষিত মানুষের অভাব নাই, কিন্তু ইসলামে দিক্ষিত মানুষের অভাব প্রকট। তাই দেশ আজ দূর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে।
রবিবার (৩১ মার্চ) ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় আইন ও মানবাধিকার বিভাগের আয়োজনে পেশাজীবীদের সাথে মতবিনিময় ও ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় আইনজীবী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
কেন্দ্রীয় আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইনের সভাপতিত্বে ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইমতিয়াজ আহমেদ সজলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, কেন্দ্রীয় ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মুফতী সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন, বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুফতী সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের বলেন, ইসলামী সভ্যতার আলোকে গোটা পৃথিবী আলোকিত হয়েছিল। হাজার বছরের সেই আলোকিত সভ্যতা আজ পরাজিত। একটি জড়বাদী অন্তসারঃশূণ্য সভ্যতা মুসলিম তরুণ-যুবকদের চরিত্র হনন করে ইসলামকে মুছে ফেলতে চায়। বাংলাদেশের মুসলিম তরুণ-তরুণীদের মধ্যে সমকামীতা, মাদক ও মডার্নিজমের নামে এক অপরিনামদর্শী নাশকতা আমদানি করছে একটি গোষ্ঠী। এর বিরুদ্ধে এখনই সচেতন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ইসলামই সকল সমস্যার সহজ সমাধান। কুরআন অসীম শান্তির আধার। দেশের সর্বস্তরে কুরআন শিক্ষার প্রসার ঘটাতে তরুণ পেশাজীবীদেরকে কাজ করতে হবে।
প্রধান বক্তার আলোচনায় মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন বলেন, তরুণ-যুবকরা ইসলামী অনুশাসনে ফিরতে উৎসাহী। কারণ, তারা বুঝতে পেরেছে, চকচকে আধুনিক সভ্যতা কেবলই মানুষের বিপর্যস্ত ডেকে আনে। তরুণ আইনজীবি, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদেরকে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সমাজের সর্বস্তরে ইসলামের আদর্শ তুলে ধরতে হবে। তাহলেই ইসলাম বিরোধীদের সকল পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর অ্যাসিস্টান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী রহমাতুল্লাহ বিন হাবিব, অর্থ সম্পাদক আলহ্জ্ব শফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আবু বকর সিদ্দীক, নৃ-গোষ্ঠী ও সংখ্যালঘু সম্পাদক মুফতী মোস্তাফিজুর রহমান, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ডা. মিজানুর রহমান এবং ইসলামী আইনজীবী পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশসহ অন্যান্য সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও নগর নেতৃবৃন্দ।