ইদানিং ধর্ষন নিয়ে এতো বেশি আলোচনা হচ্ছে যে, নারী বিষয়ক অন্যান্য নিয়ামকগুলো চাপা পড়ে যাচ্ছে। সমাজের কিছু নষ্ট পুরুষ জৈবিক চাহিদা মেটাতে ধর্ষনের বক্র ও ঘৃণ্য পথ বেছে নিয়েছে।
কিন্তু-
∆বিবাহবহির্ভূত প্রেমে মজে যেই ছেলে মেয়ে চাইনিজের অল্প আলোয় বা পার্কের অন্ধকার কোনে প্রতিনিয়ত অসামাজিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে তাদের কী শাস্তি দিবেন?
∆বিয়ে না করেও যেসব জুটি বছরের পর বছর বাসা ভাড়া নিয়ে লিভ টুগেদার করছে তাদেরকেই বা কী বলবেন?
∆ধর্মীয় ও প্রকৃতিগত রীতি বাদ দিয়ে সমলিঙ্গের নারী বা পুরুষ যারা গে হচ্ছে এবং সমকামীতায় লিপ্ত থাকছে, এসব কওমে লুতের অনুসারী পাপিষ্টদের বিচার কী হবে?
∆বিবাহিত হয়েও অন্য কারো স্বামী বা স্ত্রীর সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত হয়ে যারা নিজেকে এবং সমাজকে নষ্ট করছে তাদের বিরুদ্ধেই বা কী ব্যবস্থা নিবেন?
∆যেসব মেয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ছেলেদের পকেট খালি করে, নিজের জৈবিক চাহিদা মেটাতে শরীর বিলিয়ে পরে উল্টো ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দেয়, তাদের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নিবে সমাজ ও রাষ্ট্র?
সকলের দাবীর মুখে ধর্ষনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আইন হয়েছে। কিন্তু বাকীদের কী হবে? এরাইতো সমাজকে নষ্ট করছে, এদের অনাচারেই তৈরি হচ্ছে ইভটিজার, ধর্ষক, খুনী, সমকামী বা পরকীয়া আসক্ত নারী-পুরুষ। শান্তি চাইলে শুধু ধর্ষন নয়, যৌন সংক্রান্ত সকল অনাচার, ব্যভিচার বন্ধ করতে হবে।
মনে রাখতে হবে, বিবাহ বহির্ভূত সকল শারীরিক সম্পর্ককে আল্লাহ তাআলা যেনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং এটি ইসলামে কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যেনা করা তো পরের কথা, যেনার ধারেকাছে যেতেও আল্লাহ তাআলা মানুষকে নিষেধ করেছেন।
আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারীমে বলেছেন,
وَلَا تَقْرَبُواْ ٱلزِّنَىٰٓ ۖ إِنَّهُۥ كَانَ فَٰحِشَةً وَسَآءَ سَبِيلًا
(الإسراء – 32)
‘তোমরা জেনা-ব্যভিচারের কাছেও যেও না, নিশ্চয়ই এটি অশ্লীল ও মন্দ পথ।’ (বনি ইসরাইল-৩২)
লেখক
কে এম আতিকুর রহমান
কেন্দ্রীয় সভাপতি
ইসলামী যুব আন্দোলন